দুই দিনের সফরে থাইল্যান্ডে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

SHARE

তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক দুই দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন।

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে তিনি ব্যাংককে অবস্থিত ইউনেসকেপের সদর দপ্তরে এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এই ই মিজ আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানার সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত ১৩ বছরে বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও অর্জনসমূহ তুলে ধরেন । যুব সম্প্রদায় এবং নারী জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তার মন্ত্রণালয়ের নানা প্রকল্প ও এর অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। এরপর ইউনেসকেপ ও আইসিটি ডিভিশনের বাংলাদেশ স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এ রিপোর্টে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ব্যবসার বিভিন্ন দিক সমূহ নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। বৈঠক সমূহে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সফরের প্রথম দিন সকালে তিনি থাইল্যান্ডের ডিজিটাল ইকনোমি ও সোসাইটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী চাইয়ুথ থানাকামানিউসরনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে আসিয়ানের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ড কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানানোয় থাইল্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে দুই দেশের আইসিটি খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির জন্য থাই মন্ত্রীকে আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বিষয়ে থাই মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন এবং দুই বাংলাদেশের সাথে তথ্য প্রযুক্তি খাতে থাই বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিমসটেক সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে অভিন্ন তথ্য সুরক্ষা বিধি তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী থাই মন্ত্রীকে আগামী ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এ অংশগ্রণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

পরে প্রতিমন্ত্রী এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিরর প্রেসিডেন্ট উৎ ইডেন উডসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এআইটি প্রেসিডেন্ট তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন এবং এআইটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি গ্রাজুয়েটদের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।

প্রতিমন্ত্রী এআইটির সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির প্রতি জোর দেন। তিনি আইসিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাজুয়েশন এবং পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রির জন্য তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বৃত্তি চালুর উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন।

এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদের প্রশিক্ষণ কোর্সে ছাত্র, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য এ আইটির সহযোগিতা কামনা করেন। এআইটি-র প্রেসিডেন্ট এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী (এআইটি)-এর এন্টাপ্রেনিয়োর সেন্টার ই (এআইটি) আয়োজিত ফিউচার অব ইনোভেশন ইন বাংলাদেশ এন্ড অপারচুনিটিজ ফর গ্লোবাল কোলাবরেশন-শীর্ষক একটি সেশন এ অংশগ্রহণ করেন।