র‌্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী

SHARE

সম্প্রতি র‌্যাব কর্মকর্তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। এমনটা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরেই যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করে। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে উভয় দেশ কাজ করছে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে ও দুদেশের কূটনৈতিক মহলও এটি নিয়ে কাজ করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। এই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের গত কয়েক বছর ধরে যে উন্নয়ন অগ্রগতি তার প্রশংসা করেছেন।

এ চিঠির মাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটি ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে’ তা প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের মনে স্বস্তি আসলে বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে যায়। এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ স্বল্পমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে। এতে করে মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। তাই বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে গেছে। বিএনপি একদিকে সংবাদ সম্মেলন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলে, অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ী মজুতদারদের উৎসাহ দিচ্ছে। তারা যেন পণ্যের দাম বাড়ায়, পণ্য মজুত করে। এজন্য বিএনপি ভেতরে ভেতরে উৎসাহ দিচ্ছে। যেন দ্রব্যমূল্য বাড়লে মানুষের মনে কষ্ট হয়। অর্থাৎ বিএনপি দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের আইন আদালত যা কিছু আছে তা সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের আইন ও আদালত স্বাধীন। আইন আদালত স্বাধীন বলেই অনেক আওয়ামী লীগ এমপির বিরুদ্ধে আদালতে রায় হয়। অনেক এমপি আদালতের রায়ে হাজতে বা জেল খানায় যায়। আইন আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। স্বাধীনভাবে কাজ করছে বিধান মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা অনেক মামলায় জামিন পায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপি যে অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল সেগুলোর হুকুমের আসামি হচ্ছে মির্জা ফখরুলসহ আরও অনেক বিএনপির নেতা। এসমস্ত মামলায়ও বিএনপি জামিন পেয়েছে। যা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, আসলে বিএনপি কী বলতে চায় সেটা স্পষ্ট নয়। একবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চায়, নির্বাচনে যাবে না বলে। আবার তারা জাতীয় সরকারের কথা বলে আসলে তারা কোনটা বলতে চায় স্পষ্ট নয়। তারা এক এক সময় এক এক কথা বলে। পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়েছে যে, নেতাদের সামলানো নিয়ে বিএনপি এখন ব্যস্ত। তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় রাজনীতির মাঠে বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এক এক নেতার এক এক বক্তব্য।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন চেষ্টা করছে সব দলের একটা ঐক্য গড়ে তোলার জন্য। এটি তারা আগেও করার চেষ্টা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান, বাম, তালেবান এসব ছোট ছোট দল নিয়ে মোর্চা গঠন করেছে। সে মোর্চার ফলাফল হচ্ছে ৫টি আসন। তবে আমরা আশা করি এবার নির্বাচনে যেন তারা বেশি আসন পায়। তারা প্রস্তুতি নিক। তারা যে চেষ্টায় আছে তাতে যদি সফলও হয় তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে।