প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নদী শাসন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি তাদেরকে নদীর স্বাভাবিক গতি-প্রবাহ অক্ষুণ্ন, নাব্যতার উন্নয়ন এবং বাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণে আরো সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী শাসন, খাদ্য উৎপাদনের জন্য সেচ এবং মাছের চাষ করার জন্য নদী শাসন প্রয়োজন। তবে কোন অবস্থাতেই নদীর স্বাভাবিক গতি-প্রবাহকে ব্যহত করা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের উদ্দশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি তাদেরকে সারাদেশে বিদ্যমান স্লুইস গেটগুলোর প্রয়োজনীয়তার ওপর সমীক্ষা পরিচালনার এবং বর্তমান সরকারের নদী ড্রেজিং ও নদী শাসন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সংগে আপোষ-আলোচনার মাধ্যমে অভিন্ন নদ-নদীর পানি বনটন সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। তিনি বলেন, এরই সূত্র ধরে বাংলাদেশ ও ভারত একটি ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আন্তরিক ছিল, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়নি। যা ছিল দুঃখজনক ঘটনা। তবে আমি আশাবাদি, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধার হবে’।
এ অঞ্চলের অভিন্ন নদ-নদীর পানি সম্পদের ব্যবস্থাপনার সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ করতে হবে। অন্যথায় তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সূচনা বক্তৃতা করেন। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বীর প্রতিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ, পানি সম্পদ সচিব ডঃ জাফর আহমেদ খান এবং মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।