ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ

SHARE

ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ও ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে যাদের অন্তত ছয় মাস আগে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা সম্পন্ন হয়েছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে ভার্চুয়ালি কমিটির ৪৯তম সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়। পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে সভায় করোনা পরিস্থিতি ও বুস্টার ডোজ প্রদানের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভা শেষে অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা জানান, দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যদের মতামত জানতে চেয়েছেন। উপস্থিত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠী ও ফ্রন্টলাইনার যাদের দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা অন্তত ছয় মাস আগে সম্পন্ন হয়েছে তা বুস্টার ডোজ দেয়া যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন বাংলাদেশের শনাক্ত হওয়ায় কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। অমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জনসমাগম সীমিতকরণ এবং অতীব প্রয়োজন ছাড়া অফলাইনে সভা পরিহার করে অনলাইনে সব আয়োজনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া দেশের সকল পয়েন্ট অফ এন্ট্রি তে স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন আরও জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২৮ জনে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ হাজার ৯২৮ জন ও নারী ১০ হাজার ১০০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন ও নারী ২ জন। তাদের সকলেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

দেশে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৫০ জন।