বন্ধুর গ্রামে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী!

SHARE

rape induবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের গৌরম্ভা গ্রামে এক বাড়ির বাগানে এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সেলিম মোল্লা (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সেখান থেকে মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়।

ওই কিশোরী বাদী হয়ে রামপাল থানায় সেলিম মোল্লাসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছে। আজ শনিবার সকালে পুলিশ কিশোরীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।

মামলার এজাহারের অভিযোগের সূত্রে রামপাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলমের দেওয়া ভাষ্য, রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের নয়ন নামের এক যুবকের সঙ্গে বছর খানেক আগে ওই কিশোরীর মুঠোফোনে পরিচয় হয়। নয়ন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কিশোরীকে রামপালে আসতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়ে কিশোরী খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা গ্রাম থেকে রামপালে যায়। নয়ন ও তাঁর আরেক বন্ধু প্রদীপ দুজনে রামপাল উপজেলার ভান্ডারকোট থেকে কিশোরীকে নিয়ে একই উপজেলার আদাঘাট এলাকায় ঘুরতে যান। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ঘুরে তাঁরা তিনজনে গৌরম্ভা গ্রামে যান। এ সময় নয়নের পূর্বপরিচিত সেলিম, লোকমান, বাবুল ও সেন্টু তাঁদের আটকান। তাঁরা কিশোরীকে রেখে নয়ন ও প্রদীপকে চলে যেতে বলেন। ভয় দেখানোর পর নয়ন ও প্রদীপ সেখান থেকে চলে যান।

এসআই মোহাম্মদ শাহ আলমের ভাষ্য, পরে ওই চার যুবক কিশোরীকে ওই গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। সেলিমের তিন বন্ধু মেয়েটিকে সেলিমের কাছে রেখে সটকে পড়েন। গ্রামবাসী খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটনাটি জানান। পুলিশ সেখানে গিয়ে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শাহ আলমের দাবি, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম তাঁর তিন বন্ধুকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে রামপাল থানায় সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।