গুমের ঘটনায় সরকার ‘জানি না’ বললে চলবে না: খন্দকার মাহবুব

SHARE

image_79292_0বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভেকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, “সারা দেশে ঘটতে থাকা গুমের ঘটনা উদঘাটনে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।”

মঙ্গলবার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “গুমের দায় এড়িয়ে ‘জানি না’ বললে চলবে না। জানি না বলে দায় এড়ানো যায় না। দায় এড়ানোর চেষ্টা করলে দেশে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।”

তিনি বলেন, “হত্যা, গুম ও অপহরণের আতঙ্কে মনে হয় দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।”

এ বিষয়ে আদালতে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আদালত গিয়ে কাজ হয় না। আদালতের আদেশের বিষয়ে সরকার কোনো জবাব দেয় না। রুল জারি করলেও রুলের কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।”

গুম, হত্যা বন্ধ না হলে আন্দোলনের বিকল্প কিছু নাই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাহবুব হোসেন আরো বলেন, “জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০০ ব্যক্তিকে হত্যা, গুম ও অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দলীয় তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত র্যা ব ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৭২ জন বিরোধীদলের নেতাকর্মী খুন, ২৫ জন গুম ও ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে।”

তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার সরকার গত রোববার কোর্ট হতে বের হওয়ার পর সাদা পোশাকধারী কতিপয় ব্যক্তি তাকে এবং তার ড্রাইভারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অথচ এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এ বিষয় স্বীকার করেনি। যা জাতির জন্য খুবই হতাশাজনক।”

অবিলম্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে এসব বিষয় থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানান খন্দকার মাহবুব। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট ল’রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির নেতারা এক সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারকে অবিলম্বে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।