এ কেমন গ্রাম! সারা ভারত যখন একদিকে, তখন ভাসাইয়ের ‘দারপালে’ গ্রামের বাসিন্দারা বিপরীত দিকে৷
কেন?
স্বপ্নিলের বাবা প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘ছেলের জন্য গোটা গ্রাম গর্বিত৷ বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে সবাই চাইছিল, ভারত জিতুক৷ কিন্তু, শনিবারের ম্যাচটা আলাদা৷ সেদিন প্রত্যেকে সমর্থন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে৷ স্বপ্নিলের জন্যই৷ মুহূর্তটা আমাদের কাছে স্বপ্নের৷ কারণ, ছেলে বিশ্বকাপে খেলছে৷’
স্বপ্নিলের বাড়িতে বড়পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্হা করা হয়েছে, যাতে গ্রামবাসীরা একসঙ্গে খেলা দেখতে পারেন৷ গতবার টি ২০ বিশ্বকাপে স্বপ্নিল যখন খেলেছিলেন, তখন বড়পর্দা বসানো হয়েছিল গ্রামের একটি মাঠে৷ এবার জায়গা বদলের কারণ?
প্রকাশ জানিয়েছেন, ‘এবার ভোরে খেলা৷ তাই বাড়ির ভেতরেই খেলা দেখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷’ গ্রামবাসীরা শনিবারের ম্যাচে স্বপ্নিলের সেঞ্চুরি দেখতে চান৷ এক গ্রামবাসী প্রীতম চৌধুরী বলেছেন, ‘ও যদি সেঞ্চুরি করতে পারে, তা-ও ভারতের বিরুদ্ধে, তা হলে সেটা আমাদের কাছে হবে বিরাট পাওয়া৷’
আরেক প্রতিবেশী নিবেদিতা পাতিল বলেছেন, ‘স্বপ্নিলের জন্য সব সময় প্রার্থনা করি৷ তবে এবার আরও বেশি করে করব৷ কারণ, লড়বে যে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে৷ চাইব, ও শেষ পর্যম্ত ব্যাট করুক৷ যাতে আমরা পুরো সময়টা আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখতে পারি৷’
আগামী ১৫ এপ্রিল ৩০ হবে স্বপ্নিলের৷ ২০০৬ সালে আরব আমিরাতে পাড়ি দেন তিনি৷ স্বপ্নিলের বাবা জানিয়েছেন, ‘ক্রিকেট নিয়ে ছেলে চিরকালই পাগল ছিল৷ মুম্বাইয়ের অনূর্ধ্ব ১৯ এবং অনূর্ধ্ব ২২ দলের হয়ে খেলেছে৷ ২০০৪-০৫ সালে রনজির সম্ভাব্য দলেও ছিল৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি৷’ ২০০৬ সালে যোগী গ্রুপ ক্রিকেট ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পান স্বপ্নিল৷ মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ভি ডি ও দেখেই স্বপ্নিলকে পছন্দ হয়েছিল৷ চার বছর ক্লাব ক্রিকেট খেলার পর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দলে ডাক পান স্বপ্নিল৷ মাস দুই আগেই বিয়ে করেছেন৷ মুম্বাইয়ের প্রাক্তন সতীর্থ রাহানের বিরুদ্ধে খেলার জন্য মুখিয়ে এখন৷ ছেলের হয়ে বাবা বলেছেন, ‘স্বপ্নিল অপেক্ষায় আছে রাহানে, রোহিতদের বিরুদ্ধে খেলার জন্য৷ আমার ছেলে ওখানে দারুণ খুশি৷’