ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলবো: মেয়র তাপস

SHARE

সব সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (৯ অগাস্ট) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর সমন্বতি মহাপরকিল্পনা (২০২০-৫০) প্রণয়ন র্শীষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সংস্থা যে সব পরিকল্পনা নিয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটি উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্ন পূরণে সবাই সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, ৩০ বছর মেয়াদী একটা রূপরেখা প্রণয়ন করা। যে সব মহাপরিকল্পনা এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে এবং সেই রূপরেখার আওতায় আমরা পথ চলব। একসঙ্গে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে।

এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারও সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ নেই জানিয়ে শেখ তাপস, সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যাবো। আমাদের সবারই অভীষ্ট লক্ষ্য একটি। সেটি হলো জনকল্যাণমূলক কাজ করা, জনগণকে সেবা দেওয়া এবং ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে রূপকল্প দিয়েছেন তার আলোকে উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতেই এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব এবং সেই লক্ষ্যে কাজগুলো এগিয়ে চলেছে।

মেয়র আরও বলেন, আপনাদের সুচিন্তিত প্রাথমিক মতামত এসেছে। সেটি অত্যন্ত জ্ঞান-গর্ভ, আমাদের অনেক সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা প্রত্যেকটি সংস্থার সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বসব। একটি আধুনিক শহরের অনেকগুলো উপাদান আছে। সেগুলো হয়তো আজকে উপস্থাপন করা হয়নি কিংবা আলোচনায় আসেনি। কিন্তু তারপরও সে সব উপাদান সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সুচারুরূপে আলাপ করব।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাশিদুর রহমান, বিটিসিএল মহাপরিচালক ড. রফিকুল মতিয়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদশে রেলওয়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।