জলবায়ু ও করোনা: বিশ্বকে এক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

SHARE

জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনা মোকাবিলায় বিশ্বকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ‘প্রথম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর অর্থ সম্মেলন’ এর উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

করোনা মহামারি পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে চলমান কোভিড-১৯ মহামারি নতুন করে মানুষের জীবনে দুঃখ কষ্ট যোগ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং উন্নত দেশগুলোকে তাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব, নৈতিক এবং আইনি বাধ্যবাধকতা পালন করা উচিত।’

এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফা প্রস্তাব রাখেন।

প্রথম দফা প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধে প্রতিটি দেশকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে।’

দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর উচিত সিভিএফ-ভি ২০ দেশের সবুজ পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে মূলধনের ব্যয় হ্রাস করার জন্য এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য নিবেদিত হয়ে সমর্থন করা।’

তৃতীয়ত প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তহবিলের প্রবাহ অবশ্যই অনুমানযোগ্য, ভারসাম্যপূর্ণ, উদ্ভাবনী এবং বর্ধনশীল হতে হবে।’

চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা জলবায়ুর ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর আহ্বান জানান।

পঞ্চম প্রস্তাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে আমাদের ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ এর মতো ‘ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ গ্রহণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং অতিরিক্ত তহবিলের ব্যবস্থা করা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সিভিএফ-ভি টুয়েন্টি গ্রুপের ৪৮ সদস্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক নিঃসরণের মাত্র ৫ শতাংশ নির্গত হয়, কিন্তু তারাই এই মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ প্রথম অর্থমন্ত্রীদের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করে।