বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ লিওনেল মেসির, এখন তিনি ‘ফ্রি এজেন্ট’

SHARE

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার এখন ফ্রি এজেন্ট, অর্থাৎ কোনো ক্লাবের সঙ্গেই আদতে এখন তার কোনো বাঁধন নেই। বার্সেলোনার লিওনেল মেসি এখন চাইলেই চলে যেতে পারেন প্যারিস কিংবা ম্যানচেস্টারের কোনো ক্লাবে।

ঠিক ১২ মাস আগেই বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি, তবে যেতে পারেননি চুক্তির বাধ্যবাধকতায় । কিন্তু ২০২১ সালের জুন মাসের শেষ দিনটির শেষে বার্সেলোনায় যখন মধ্যরাত, তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ।

আর্জেন্টাইন তারকার চুক্তি নবায়ন নিয়ে নানা গুঞ্জন ও অনুমান চলছিল, কিন্তু এখনো তা বাস্তব রূপ পায়নি।

বার্সেলোনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ অবশ্য লিওনেল মেসির সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত হয়তো লিওনেল মেসি ন্যু কাম্পেই থেকে যাবেন, এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করছেন। কিন্তু এই মুহূর্তে মেসি চাইলে অনেক ক্লাবই তাকে বিনামূল্যে পেতে পারে।

স্প্যানিশ ফুটবল লেখক গিলেম বালাগ বলেছেন, বার্সেলোনা সপ্তাহের শুরুতেই ‘গুরুত্ব বাড়িয়ে’ চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে, আশা করা যাচ্ছে জুলাইয়ের শুরু থেকে দুই বছরের জন্য একটা চুক্তি হতে যাচ্ছে লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে।

‘বার্সেলোনার নতুন প্রেসিডেন্ট হোয়ান লাপোর্তার প্রধান অগ্রাধিকার এখন লিওনেল মেসির সাথে চুক্তি নবায়ন, এখন তিনি সরাসরি মেসির বাবা ও প্রতিনিধি হোর্হে মেসির সাথে দর কষাকষি করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্জেন্টাইন এই ফুটবলারকে ধরে রাখতে, ক্লাবটির বেতন সংক্রান্ত বিল কমিয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি নিয়ে আসতে হবে। এতে করে লা লিগার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের শর্তও মিটবে।’

গিলেম বালাগ বলেন, ‘মেসি জানে যে অন্য ক্লাবগুলোও তাঁকে চায়, কিন্তু তিনি এখনো কোনো ক্লাবের সাথে আলোচনা করেননি। আগে তিনি শুনতে চান বার্সেলোনার প্রস্তাবটা কী।’

৩৪ বছর বয়সী মেসিকে জড়িয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই এবং ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির নাম শোনা যাচ্ছিল। ম্যানচেস্টার সিটিতে মেসির সাবেক ম্যানেজার পেপ গার্দিওলাও আছেন। আবার আমেরিকার মেজর লিগ সকারের কথাও শোনা যাচ্ছিল কিছুদিন ধরে।

এখন লিওনেল মেসি আছেন ব্রাজিলে, কোপা আমেরিকা খেলছেন আর্জেন্টিনার হয়ে।

বলিভিয়ার সঙ্গে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েন লিওনেল মেসি। সেই ম্যাচে ৪-১ গোলে জয় পায় তার দল, যেখানে মেসি দুটো গোল করেন, একটি গোল বানিয়েও দেন।