ভারতে করোনার নতুন ‘ডেল্টা প্লাস’ স্ট্রেন বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

SHARE

গত ২১ জুন থেকে সবার জন্য টিকাকরণের কাজ শুরুর পর দ্বিতীয় দিনে ভারতে ৫০ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন নিয়ে চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসে এখনও পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি ভারতীয় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন মহারাষ্ট্রের। বাকিরা কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, জম্মু, পাঞ্জাব ও মধ্যপ্রদেশের। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রণালয়।

এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আজ, ২৩ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশের তৈরি টিকা কোভ্যাকসিনকে আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র দিতে পারে। এদিনই উৎপাদক সংস্থা ভারত বায়োটেক জানাচ্ছে, কোভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর করোনা রুখতে। করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতি টিকার প্রভাবকে পরাস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ভারতের দু’টি টিকা কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের এই প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। রাজেশ বলেন, “ভারতের দু’টি টিকারই এই ডেল্টা প্রজাতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা রয়েছে। তবে এই ক্ষমতা কতখানি বা কতটা অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।”

করোনার এই নতুন প্রজাতি গত কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে মঙ্গলবার এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজেশ। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের পাশাপাশি মোট ৯টি দেশে করোনার ডেল্টা প্লাস প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জাপান, নেপাল, চিন এবং রাশিয়াতেও ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।

গত এপ্রিলে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। অক্সিজেনের অভাব থেকে হাসপাতালে বেডের ঘাটতিতে রাতারাতি মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছিল বহু রাজ্যেই। সংক্রমণের সেই তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে এলেও বাড়ছে তৃতীয় ঢেউ ঘিরে আশঙ্কা। ডেল্টা প্লাস থেকেই সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে, এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।