ফিরে এসেছেন ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা

SHARE

নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিনের মাথায় তরুণ ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান ফিরে এসেছেন।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে তাকে রংপুুুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রংপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের ভাষ্য মতে- গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দিনগত রাতে রংপুর থেকে ঢাকার ফেরার পথে রাজধানীর গাবতলী পৌঁছানো মাত্র ত্ব-হা তার গাড়ির চালক মো. আমির, সফরসঙ্গী মো. মুহিদসহ মোট ৪ জন নিখোঁজ হন।

নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সারা দেশেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ত্ব-হাকে ফিরে পেতে তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভক্তরা বিভিন্ন পোস্ট দেন। যেখানে বারবারই তাকে ফিরে পেতে দাবি জানানো হচ্ছিলো।

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, আবু ত্ব-হাকে পাওয়া গেছে। তিনি উদ্ধার হয়েছেন। এই মুহূর্তে এইটুকু তথ্য আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

আবু ত্ব-হার প্রতিবেশী বিপ্লব মিয়া জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবু ত্ব-হাকে তার শ্বশুর আজহারুল ইসলাম মন্ডলের বাড়িতে ঢুকতে দেখেছেন তিনি।

আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নিখোঁজ আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ চারজনকে পাওয়া গেছে। আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে তিনি তার রংপুরের বাসায় ফেরেন। বাসায় ফেরার পর তার স্ত্রীকে ফোনে জানান তিনি ফিরেছেন। তবে কীভাবে ফিরলেন, কোথা থেকে ফিরলেন এসব বিষয় আপাতত তার স্ত্রীকে শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

গত ১০ জুন দিবাগত রাত থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না আবু ত্বহা, তার দুই সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের।

সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকায় রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।

এরপর রাত ২টা ৩৬ মিনিটে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আদনানের। তিনি সাভার যাচ্ছেন বলে জানান। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন ত্ব-হার মা আজেদা বেগম।