ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ফুটবলার ও বর্তমানে ওয়েলসের কোচ রায়ান গিগসের ওপর আনা হয়েছে দুইজন নারীকে নির্যাতন ও শারীরিক লাঞ্চনার গুরুতর অভিযোগ। যে কারণে ওয়েলসের কোচের চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে।
মামলার অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, গত নভেম্বরে সালফোর্ডে একজন ত্রিশ বছর বয়সী নারীকে শারীরিক আঘাত ও অন্য আরেকজন ২০ বছর বয়সী নারীকে লাঞ্ছিত করেছেন গিগস। এছাড়া গিগসের ওপর ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে জবরদস্তির অভিযোগও আনা হয়েছে।
আগামী ২৮ এপ্রিল ম্যানচেস্টার সালফোর্ড ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার শুনানির জন্য হাজিরা দিতে হবে তাকে। এর আগেই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে ওয়েলসের কোচের পদ থেকে। তার বদলে চলতি বছর আসন্ন ইউরোতে ওয়েলসের কোচের দায়িত্ব পালন করবেন রবার্ট পেজ।
এদিকে এক বিবৃতিতে ৪৭ বছর বয়সী গিগস জানিয়েছেন, তিনি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করবেন। তিনি লিখেছেন, ‘আইনের প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান আছে এবং অভিযোগগুলোর গুরুত্বও বুঝতে পারছি আমি। আদালতে আমি নিজেকে নির্দোষ দাবি করব।’
পাশাপাশি আসন্ন ইউরোর জন্য রবার্ট পেজকে শুভকামনাও জানিয়েছেন গিগস। ১৯৯১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সময়ে ওয়েলসের হয়ে ৬৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে পান দলের কোচের দায়িত্ব। পাশাপাশি সালফোর্ড সিটির সহ-মালিক তিনি।