প্রতি জেলায় পানি পরীক্ষাগার নির্মাণ করা হচ্ছে : এলজিআরডি মন্ত্রী

SHARE

দেশের সকল মানুষকে গুণগত ও মানসম্মত নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে পানি পরীক্ষাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। একইসাথে পানির গুরুত্ব অনুধাবন করে অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব পানি দিবস-২০২১ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষের নিকট যে পানি সরবরাহ করা হবে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক আছে কি না, পানির মধ্যে প্রয়োজনীয় উপাদান ছাড়া ক্ষতিকর বস্তু আছে কি না তা পরীক্ষা করে মানুষের নিকট পৌঁছে দিতেই এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে প্রচুর পানি অপচয় করে থাকি। পানির ব্যবহারে আমাদের অধিক সচেতন হতে হবে। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির গুরুত্ব অপরিসীম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, এসডিজি ২০৩০ অনুযায়ী দেশে ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা থাকলেও এর আগেই আমরা লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শহর-নগর এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় থেকে অনেক মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি মানুষের নিকট পানি সরবরাহ সহ অন্যান্য মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত রেখে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব নয়। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে সকলকে উন্নয়নের সুফলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। প্রফেসর এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এছাড়া, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, ওয়াটার এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সুইডেন রাষ্ট্রদূত অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।