করোনায় আরও ৩০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৮০৯

SHARE

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৭২০ জনে। গত ৭ জানুয়ারির পর ভাইরাসটিতে এক দিনে দেশে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। সেদিন মৃত্যু হয়েছিল ৩১ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮০৯ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৭ জনে। গত বছরের ২০ আগস্টের পর এটিই করোনায় দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। সেদিন ২৮৬৮ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

আজ সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৫৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ১৫৯ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ১টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১১১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৩০টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, পাঁচ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চার জন। এছাড়া খুলনা ও সিলেট বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৯ জন, বাড়িতে এক জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক রয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ দুই হাজার ৪১৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৩০৩ জন। এখন আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ১১৬ জন।