নারী দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালিয়ে শপথ

SHARE

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি জ্বালিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের শপথ নিয়েছে ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট।

রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরাই পারি জোটের ‘আঁধার ভাঙার শপথ’ কর্মসূচিটি ১২ বছর অতিক্রম করল।

‘আমরাই পারি’র জনপ্রিয় এ কর্মসূচির যুগপূর্তিতে শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি অনলাইন কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ‘আমরাই পারি’ জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপ্রধান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় কমিটির সদস্য ফওজিয়া খন্দকার ইভা, শিপা হাফিজা, এম বি আখতার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ‘আমরাই পারি’র ৪৮টি জেলার জেলা জোটের আহ্বায়কেরা। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন আমরাই পারি জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক।

‘আমরাই পারি’ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। আমরা সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিতকরণের একই সময়ে নারীর জন্য প্রতিটি স্থান, প্রতিটি সময়, প্রতিটি মুহূর্তকে নিরাপদ করার জোরালো দাবি জানাই। আমরা জানি, নারীর চলাচলের স্বাধীনতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মনের আঁধার, রাতের আঁধার নয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘‘আমার সৌভাগ্য যে ‘আমরাই পারি’র ১২ বছর ধরে উদযাপিত আঁধার ভাঙার শপথ কর্মসূচিতে আমি প্রতিবার আপনাদের সঙ্গে থাকতে পেরেছি, হাঁটতে পেরেছি।’’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর সমস্যা থাকার পরও নারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেখেছে কী করে করোনার অতিমারিকে প্রবল সাহসিকতা এবং দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব। তবুও নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।’

তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে একযোগে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনলাইন কর্মসূচিতে ‘আমরাই পারি’ জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের অনেক অগ্রগতি ঘটেছে।’

তিনি নারী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতায়নের মেলবন্ধন হওয়ার পথে প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। তিনি একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যমূলক আইন, বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরুদ্ধে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন, যা নারীর অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে বাড়িয়ে দেয়।