মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি, শুধু সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শনিবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বোঝার ভুল আছে। যেদিন আমরা মিটিং করি, সেদিন কিছু লোকের খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এরা কারা, এরা হচ্ছে আত্মস্বীকৃত খুনি, যারা আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত। সেই পর্যায়ে আলোচনা হয়েছিল যে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। অনেকেই অনেক উদাহরণ দিয়েছে। তিনি যে খুনি সেটার পক্ষে অনেকেই অনেক তথ্য দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। ২ মাসের মধ্যে কমিটিকে দালিলিক প্রমাণ, কবে কত তারিখে কী কী করেছেন—এসব প্রমাণ দাখিল করতে হবে। তারপর রিপোর্ট পাওয়ার পর কমিটিতে আলোচনা হবে। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত হবে।
মন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ পত্রিকায় লিখেছেন, এটা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, কেউ কেউ বলেছেন, কমিটি করা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি মিডিয়ায় বিষয়টা পরিষ্কার করতে। আমরা খেতাব বাতিল করিনি, বাতিল করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, তদন্ত কমিটি করে তার রিপোর্ট প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিনি কবে কোথায় কীভাবে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল সেটা খুঁজে বের করার। এটা বের করার পর আমরা জাতির সামনে পেশ করব।
অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।