ক্যারিবীয়দের উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা

SHARE

ছয় বলে ছয় ছক্কা যে নেহায়েতই দুর্ঘটনা, এর প্রমাণ দিলেন আকিলা ধনঞ্জয়া। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, লাকশান সান্দাকানরা। তিন স্পিনারের দাপুটে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রতিশোধ নিয়ে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা, দুর্দান্ত জয়ে সমতা ফিরিয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে।

শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৮.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা। ফলে শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ৪৩ রানের জয় এবং ১-১ সমতা চলে এসেছে সিরিজে।

অথচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৩.১ ওভারে ১৩৪ রান করে ফেলায়, দ্বিতীয়টিতেও বাজি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। কিন্তু এবার আর পারেননি এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড, লেন্ডল সিমনসরা। সবার সম্মিলিত ব্যর্থতার ফলেই ক্যারিবীয়দের ইনিংস থেমেছে মাত্র ১১৭ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন দশ নম্বরে নামা ওবেদ ম্যাকয়।

আগের ম্যাচে ঝড় তোলা এভিন লুইস (৬ বলে ৬), লেন্ডল সিমনস (১৯ বলে ২১) ও কাইরন পোলার্ডরা (১৫ বলে ১৩) আজ কিছুই করতে পারেননি। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা ক্রিস গেইল ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখেছেন। আউট হয়েছেন ১৬ বলে ১৬ রান করে। নিকোলাস পুরান (১৫ বলে ৮), জেসন হোল্ডার (৫ বলে ৯) ও ডোয়াইন ব্রাভোরাও (৪ বলে ২) ছিলেন নিজেদের ছায়ায়।

ক্যারিবীয়দের আটকে রাখার বড় কৃতিত্ব লঙ্কান স্পিনারদের। আগেরদিন ওভারে ছয় বলে ছয় ছক্কাসহ ৪ ওভারে ৬২ রান খরচ করা আকিলা এদিন ৪ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান, সাজঘরে পাঠিয়েছেন এভিন লুইসকে। আজকের ৪ ওভারে মাত্র ১টি ছক্কা হজম করেছেন তিনি।

এছাড়া হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ এবং লাকশান সান্দাকান ৩.৪ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। ডানহাতি পেসার দুশমন্থ চামিরা ৪ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট।

শ্রীলঙ্কাকে ১৬০ রানের সংগ্রহ এনে দেয়ার মূল নায়ক দুই ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা ও পাথুম নিসাঙ্কা। এ দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১০ ওভারেই ৯৫ রান করে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা ৪২ বলে ৫৬ ও নিসাঙ্কা ২৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে পরে আর সে অর্থে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই।

শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১৫ বলে ১৩ ও আশেন বান্দারা ১৯ বলে ২১ রান করেন। শেষদিকে ৩ চারের মারে ১১ বলে ১৯ রান করে দলীয় সংগ্রহটা দেড়শ পার করান হাসারাঙ্গা। পরে বল হাতে ৩ উইকেট নেয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন হাসারাঙ্গা।