করোনা টিকার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কাজ হয়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

SHARE

করোনার টিকা বাংলাদেশে আসবে কি আসবে না, অনেকেই এ বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, টিকার বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনো কাজ হয়নি। সময়মতো টিকা বাংলাদেশে এসেছে এবং জনগণকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। অনেক দেশ এখন পর্যন্ত করোনা টিকা পায়নি। সারাদেশে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। সুরক্ষিত থাকতে ভয় না পেয়ে সবাইকে টিকা নিতে হবে।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি করোনার টিকা নেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদও টিকা নেন।

টিকা দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অবজারভেশনে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নিয়ে শারীরিক কোনো সমস্যা অনুভব করছি না। টিকা নিতে জনগণের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। বুথগুলোয় ভিড় বাড়ছে। তিনি পুলিশ সদস্যদের টিকা নেওয়ার তাগিদ দেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণের দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৭তম। সংক্রমণের প্রথম দিকে অনেকটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের সঠিক সিদ্ধান্ত পুলিশ সদস্যদের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে। পুলিশ হাসপাতালে সেবার মান বেড়েছে। প্রথম শ্রেণির হাসপাতাল হিসেবে এটিকে গড়ে তুলতে কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।

রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে প্রতিদিন ১৮টি বুথে ৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাধারণ জনগণও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দিতে পারছেন।

মন্ত্রী এ সময় জানান, পুলিশ সদস্যরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করছেন। তারা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত হয়নি। পুলিশ নিজেরা আক্রান্ত হলেও দাফনের কাজে পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন। এটি প্রশংসনীয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ১৬ লাখ ১০ হাজার মানুষ। আর টিকা গ্রহণ করেছেন ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন।