অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চার্জশিট দাখিল না করায় আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
রবিবার ঢাকা সিনিয়র বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অপর আসামিরা হলো, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, জেসমিন প্রধান দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় পাপুল-সেলিনা দম্পতির অবৈধ অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করে বৈধতার রূপ দিতে সহযোগিতা করেন। এজন্য ‘লিলাবালি’ নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধান পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেছেন।
গত ৬ জুন এমপি পাপুলকে কুয়েতে গ্রেফতার করে সেই দেশের পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মানব ও অর্থ পাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েত সরকার।