জানুয়ারিতেই দেশে আসছে করোনার টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

আজ ১৩ ডিসেম্বর,রবিবার,সকাল ১১ টায় মহাখালীস্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি’র উপস্থিতিতে সরকার ও বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সাথে কভিড-১৫ ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে আগামী ছয় মাসে (প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ করে) মোট তিন কোটি ভ্যাক্সিন আমদানি করবে।

চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন এমপি স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি আজ ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের দায়িত্বশীল অথরিটির নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের অথরিটি চুক্তিপত্রটিতে স্বাক্ষর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুনরায় দেশে পাঠিয়ে দেবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেন,”ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে যে ভ্যাক্সিন সরকার নিচ্ছে সেটি হচ্ছে অক্সফোর্ডের এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন।এই ভ্যাক্সিন বিভিন্ন দেশের ট্রায়ালে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে হয়েছে এবং এই ভ্যাক্সিন আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি ভ্যাক্সিন আমদানি করা হচ্ছে।ধাপে ধাপে এই ভ্যাক্সিন আগামী ছয় মাস দেশে আনা হবে।

এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন এর পাশাপাশি আরো কিছু কোম্পানির সাথেও সরকারের আলোচনা চলমান রয়েছে।আশা করা হচ্ছে,সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এস্ট্রেজেনেকা ভ্যাক্সিনটি দেশে চলে আসবে। এর মধ্যে অন্য ভ্যাক্সিনগুলোও আমদানি করার কাজ অগ্রগামী হবে।” দ্রুত ভ্যাক্সিন ক্রয়ে অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ভ্যাক্সিন সংশ্লিষ্টকাজে যুক্ত কর্মকর্তাদেরও এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।

একই দিনে পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেলা ১২ টায় রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় গাইডলাইন সমুহের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কভিড মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের স্বাস্থ্যখাত জীবনের ঝুকি নিয়ে কভিড মোকাবেলা করেছে। স্বাস্থ্যখাত কভিডকে ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বলেই দেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অবস্থায় আছে।এই মহামারি চলাকালীন সময়েও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে আবারো দেশের সক্ষমতার প্রমান দিয়েছে বাংলাদেশ। সবই সম্ভব হয়েছে কভিড নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায়।

উল্লেখ্য,গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ,দেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।সেই সমঝোতা চুক্তির প্রেক্ষিতেই আজকের চুক্তিটি সম্পাদিত হলো।