দেবজানি বিতর্কে ভারত-মার্কিন বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। দেবজানিকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ দেয়ার পর পাটকেলটি হিসেবে এবার এক মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে ভারত।
ভিসা জালিয়াতি ও ভুল তথ্য প্রদানের অভিযোগে শুক্রবার ভারতীয় কূটনীতিক দেবজানি খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে মার্কিন গ্র্যান্ড জুরি। তবে কূটনীতিক হওয়ায় তাকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে রেহাই দিয়ে দেশে ফিরতে নির্দেশ দেয় মার্কিন প্রশাসন। আর তারই জবাব হিসেবে নাকি এবার দেবজানিরই সম মর্জাদার এক মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দিল্লি।
একটি সূত্র জানায়, দেবজানি সংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগেই ওই মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে দিল্লি। ডিরেক্টর পদমর্যাদার ওই কূটনীতিককে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে পাল্টা কূটনীতিক বহিষ্কার নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে মার্কিনিরাও একটি কড়া জবাবই দেবে দিল্লিকে।
উল্লেখ্য, এর আগে দেবযানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে। গৃহকর্মীর ভিসা আবেদনে মজুরি নিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন এবং চুক্তি অনুযায়ী তাকে পারিশ্রমিক না দিয়ে বেশি কাজ করানোর অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার করা হয় দেবযানিকে। তিনি নিউইয়র্কে ভারতীয় উপদূতাবাসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে কাজ করছিলেন।
বলা হয় যে, সেসময় পুলিশ তাকে প্রকাশ্যে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় এবং বিবস্ত্র করে তল্লাশি করে। একইসঙ্গে তাকে চোরাকারবারি ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে এক সেলে থাকতে দেয়া হয় যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ভারতে।
ওই ঘটনায় ভারতও নিজেদের কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সুযোগ সুবিধা কমিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া দেবযানিকে অপমানের জন্য প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি বিষয়টির জন্য ফোন করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী সালমান খুরশিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারপরও দেশটি ক্ষমা চাইবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।