নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির খেলায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নামকায়াস্তে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের দিন দুপুরে নির্বাচন বর্জন করবে বিএনপি, এটা সবারই ধারণা হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় যোগ দিয়ে এ সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির মিথ্যাচারের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, উপনির্বাচনের দিনে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে তারা আগুন দিয়েছে তা প্রমাণিত।
সম্মেলন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর দ্বিতীয় সভা বসে। করোনা সংকটের এই সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গণভবন থেকে এতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভায় দেশ ও মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের অবদানের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের আশা আকাঙ্খা অনেক। দ্রুত সম্মেলন করাসহ তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে দেন বিভিন্ন নির্দেশনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ আমাদের ভোট দিচ্ছে একটাই কারণে সেটা হল জনগণ উপলদ্ধি করতে পেরেছে যে আওয়ামী লীগ আসলে জনগণের উপকার হয়। আওয়ামী লীগ একটা সংগঠন আমাদের পূর্বের প্রস্তুত ছিল আমাদের অর্থনীতি কি হবে, আমরা সামাজিক উন্নয়নের জন্য কি করতে পারব। আমরা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য কি করব, দেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে সেদিকে কিন্তু আমরা কাজ করেছি। এটা আওয়ামী লীগ এর প্রতিটা নেতাকর্মীদের চিন্তা করতে হবে তাৎক্ষণিকভাবে কোন কিছু পাওয়াটা বড় কথা না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সেটাই বড় কথা।’
বক্তব্যে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপির ভূমিকারও সমালোচনা করেন সরকারপ্রধান। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের উপনির্বাচনের দিন রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করেন তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘উপনির্বাচনে তারা নামকায়াস্তে প্রার্থী দেয়, খুব হইচই করে, তারপর ইলেকশনের দিন দুপুরবেলা তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমি বলব এটা তাদের একটা পরিকল্পিত খেলা।’
করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন তিনি। দেশের মানুষের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পেতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগুলোতে অগ্রিম বুকিং দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।