বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত: খবরে কেজিতে বাড়ল ১০ টাকা

SHARE

পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এতে বিপাকে পড়েছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

ভারতীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক মন্ডল জানান, সম্প্রতি ভারতে অতি বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। যার কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

এ অবস্থায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি রুখতে বাংলাদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব এলসি খোলা রয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেগুলোর বিপরীতেও কোনও পেঁয়াজ রপ্তানি হবে না বলে জানানো হয়।

এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ খবরে কেজিতে বেড়ে গেছে ১০ টাকা করে। আমদানি বন্ধের খবরে আড়ৎগুলোতে পেঁয়াজের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, সেই পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজির দরে। মূলত খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

ভারতের সঙ্গে পেঁয়াজ রফতানির নিয়ে এলসি করা হয়েছে। এছাড়াও দেশটির অভ্যন্তরে রয়েছে ১শ’ উপরে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। এগুলো সময় মতো দেশে প্রবেশ না করলে ক্ষতি গুণতে হবে বলে জানান দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন, সকাল থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই কোন ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করেনি। তবে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করবে কি না সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে দেয়া হয়নি। আমরা সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি পেঁয়াজের রফতানি স্বাভাবিক রাখতে।

হিলি স্থলবন্দরের কয়েকজন পেঁয়াজ আমদানিকারক জানান, ‘কিছুক্ষণ আগে ভারতীয় রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমাদের জানিয়েছেন যে ভারত কোনো পেঁয়াজ রফতানি করবে না। এ বিষয়ে কোনো চিঠি না দিলেও ভারতীয় কাস্টমসের নিষেধ থাকায় সকাল থেকে পণ্যটি আমদানি বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমাদের অনেক আমদানিকারকের বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা রয়েছে। আমরা তো এখন বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি। আমরা তাদেরকে বলছি আমাদের যেসব এলসি খোলা রয়েছে সেগুলোর পেঁয়াজ রফতানির জন্য। আমাদের অনেক এলসির বিপরীতে অনেক ট্রাক মাল নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন যদি তারা পেঁয়াজ না দেয় তাহলে আমাদের এই সব পেঁয়াজের কী অবস্থা হবে সেই চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় কাস্টমসের সাথে কথা হয়েছে সরকারি নির্দেশনা থাকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে পরবর্তী সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে তারা জানিয়েছে।