বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

SHARE

যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নামের দুটি বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটির অপর দু’জন সদস্য হলেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। এই কমিটিকে একমাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মেধাস্বত্ব ও গ্রন্থস্বত্ব রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক নাজমুল হোসেনসহ ৫ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’র জন্য আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ নামের দুটি বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির অভিযোগ। এই দুটি বইয়ের পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।