মিরপুরে অবৈধ ৮ ওয়াশিং কারখানা বন্ধ করল পরিবেশ অধিদপ্তর

SHARE

রাজধানীর মিরপুরে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন এবং ইটিপিবিহীন অবৈধ আটটি বস্ত্র ওয়াশিং কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

আজ বুধাবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট শাখা এই অভিযান পরিচালনা করে। দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর-১ এলাকায় এবং ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ওয়াশিং কারখানা ইটিপি নির্মাণ না করে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

ওয়াশিং কারখানাগুলোকে একাধিকবার নোটিশ করা হলেও তারা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করেনি এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ করেনি। এর ফলে এসব ওয়াশিং কারখানার হতে সৃষ্ট তরল বর্জ্য ড্রেনের মাধ্যমে অপরিশোধিত অবস্থায় তুরাগ নদীতে নির্গত হয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত তুরাগ নদকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছিল।

উল্লেখ্য যে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ রীট পিটিশন নং ১৩৯৮৯/২০১৬ এর আদেশে তুরাগ নদকে জীবন্ত সত্তা/আইনি সত্তা হিসাবে ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে এ নদী দূষণ ও দখলমুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর নদী দূষণ ও দখলের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান জোরদার করেছে।

এর ধারাবাহিকতায় আজ মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াশিং লিমিটেড, মেঘনা ওয়াশিং প্লান্ট ( ইউনিট-১), মেঘনা ওয়াশিং প্লান্ট (ইউনিট-২), লালন ওয়াশিং প্লান্ট, পারসোনা ওয়াশিং প্লান্ট, ভাই ভাই ওয়াশিং প্লান্ট এবং নামবিহীন আরো দুটি কারখানসহ মোট ৮টি ওয়াশিং কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

এ সময় এম এম এক্সেসরিজ নামক রপ্তানিমুখী প্যাকেজিং সামগ্রী উৎপাদনকারী একটি পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন কারখানাকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। এছাড়া বন্ধু ডিজাইন ফ্যাশন নামক অপর একটি কারখানায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ রাখার দায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২৫০ কেজি অবৈধ পলিথিন জব্দ করার আদেশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।

অবৈধ কারখানাগুলো বন্ধ করলে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন। অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের ঢাকার মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর পরিচালক রুবিনা ফেরদৌসী জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনায় দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ অভিযানে তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর সহকারী পরিচালক মো. সামসুজ্জামান সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব ও সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান।

তাছাড়া এ অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুননেছা আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং অবৈধ কারখানাসমূহে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড মিরপুরের টীম সহযোগিতা করেন।