শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে (১৮)হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, “পরিকল্পিতভাবে একর পর এক মেধাবী ছাত্র হত্যায় মেতে উঠেছে অবৈধ সরকার। কোনো অভিযোগ ছাড়াই গতকাল ৩১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানীর মিরপুরের ৬ নম্বরের বাসার সামনে থেকে মিরপুর থানা পুলিশ এমদাদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে আরো নয়জনকে আটক করে। কিন্তু পুলিশ তাকে অভিযানের নামে গভীর রাতে কোনো এক সময় গুলি চালিয়ে হত্যা করে দায় এড়াতে লাশ রুপনগর থানায় রেখে যায়। রুপনগর থানা কর্তৃপক্ষ তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে রেখে চলে আসে।”
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, “একের পর এক মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে সরকার নরঘাতকে পরিণত হয়েছে। এভাবে হত্যা করে অবৈধ সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। অবিলম্বে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। বার বার মেধাবী ছাত্রদের এভাবে হত্যা করতে থাকলে তখন জান-মাল রক্ষায় প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া ছাত্রসমাজের আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। যত দ্রুত সম্ভব সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা এমদাদ উল্লাহকে হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যাথায় ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজকে সঙ্গে কঠোর প্রতিরোধ আন্দোলন ঘোষনা করতে বাধ্য হবে।”