সিরাজগঞ্জে পুলিশের ওপর ককটেল হামলা, আটক ৬

SHARE

sirajganj mapঅবরোধ ও হরতাল চলাকালে সিরাজগঞ্জে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপ ও হামলার সময় পুলিশ একটি তাজা ককটেলসহ ৩ পিকেটারকে আটক করেছে। রোববার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার শৈলাবাড়ি পাউবোর বাঁধ-কাম সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, শনিবার রাতে কড্ডা-মিরপুর সড়কের রামগাঁতিতে পেট্রোল বোমার আগুনে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী ও পান ব্যবসায়ী গনেশ দাস নিহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ আসামীকে আটক করেছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক আহম্মেদ জানান, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করার উদ্দ্যেশে শৈলাবাড়ি এলাকায় সংঘবদ্ধ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে সেখানে গেলে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। এরপরও পুলিশ সামনের দিকে এগিয়ে গেলে তাদের সাথে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-প্যাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের নয়ন মোড় এলাকার রাজু আহম্মেদ (৪২), চন্দ্রকোনা গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২০) এবং ফকিরতলা এলাকার মো. ঈছা (১৮) কে আটক করা হয়। সেখান থেকে একটি তাজা ককটেল বোমাও উদ্ধার করা হয়। আটককৃতদের আটকের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে কড্ডা-মিরপুর আঞ্চলিক সড়কের রামগাঁতিতে পেট্রোল বোমার আঘাতে সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী পান ব্যবসায়ী গনেশ চন্দ্র দাস নিহতের ঘটনায় রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে শিবির ও বিএনপির কর্মী শহরের মাছুমপুর মহল্লার আমির হোসেন (৩০), রেলওয়ে কলোনীর উজ্জ্বল (২৭) এবং রামগাতি মহল্লার মজনু শেখ (৩০) কে আটক করা হয়েছে। এদিকে, পান ব্যাবসায়ী গনেশ নিহতের ঘটনায় রাতেই উপ-পরিদর্শক দুলাল হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে।