এবার হরমুজ প্রণালীর পশ্চিমে সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে ইরান মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে। চূড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। এই ঘটনায় মার্কিন সেনা সাময়িকভাবে দুটি আঞ্চলিক ঘাঁটিকে সতর্কতা জারি করেছে। এ মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রোফেট মোহাম্মদ ফোরটিনথ’। মহানবী (সা.) এর নামে নামকরণ হয়েছে এ মহড়ার, যা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
মার্কিন নৌবাহিনী ইরানের এই আচরণকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বেপরোয়া বলে মন্তব্য করে এটিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন। উপসাগরীয় জলে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে যখন উত্তেজনা বাড়ছে তখনই এই মহড়াটি চালানো হয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনী ও আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্স যৌথভাবে এ মহড়া চালাচ্ছে। মহড়ায় উন্নত রাডার, যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, মহাকাশ ও নৌবাহিনীর স্তরে এই অনুশীলনে প্রদর্শিত হয়েছিল, তা সবই আপত্তিজনক ছিল। এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারে মার্কিন সেনাদের সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে,।
মার্কিন নৌবাহিনীর বাহরাইন-ভিত্তিক ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রেবারিচ বলেছেন, মার্কিন নৌবাহিনী নৌ-পরিবহণের স্বাধীনতার সমর্থনে আমাদের অংশীদারদের সাথে সামুদ্রিক সুরক্ষা প্রচারের সাথে প্রতিরক্ষামূলক মহড়া চালায়; অন্যদিকে ইরান আক্রমণাত্মক মহড়া পরিচালনা করে, ভয় দেখাতে ও জবরদস্তি করার চেষ্টা করে।