৩৫ মৃত্যু, শনাক্ত ২,৯৬০

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৬০ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জন।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৬ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চারজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৩৫৮ জন এবং নারী ৬৪২ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৬৯ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৩৭৪ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, বাসায় আটজন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় একজনকে।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৪৪৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৩১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৭৭ জন, খুলনা বিভাগের ২১২ জন, বরিশাল বিভাগের ১১৫ জন, সিলেট বিভাগের ১৪৪ জন, রংপুর বিভাগের ১১৩ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬৪ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৩১ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৪১৪ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৭০টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৭১৪টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৯৬০ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৩৭ হাজার ১৩১টি।

ঢাকাসহ সারা দেশের ৮১টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার পর এই ফল জানা গেছে বলে ব্রিফিংয়ের জানানো হয়।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭১৩ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৮ হাজার ৪৮৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫০১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৮৮ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৯৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ২৯ হাজার ৯৮৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৩ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ১৩০ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৮৫৯ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭৮ হাজার ৮৩৮টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার ১৩৩টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৬৪২ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৯ হাজার ৪২ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।