বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পর ডিশ ও ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে তা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বলে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডেসকোর এক লাইনম্যা মকসূদ আলী এসে গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এসময় তার সঙ্গে গুলশান থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) ছিলেন।
কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ সম্পর্ক ডেসকোর ওই লাইনম্যান বলেছেন, তিনি কিছুই জানেনা না। গুলশান থানার নির্দেশে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এসেছেন।
আপাতত সাময়িককভাবে জেনারেটর চালু করে কার্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দিদার জানান।
কার্যালয়ের ভেতরে খালেদা জিয়া ছাড়াও বর্তমানে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও তাঁদের দুই মেয়ে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, প্রেস উইংয়ের সদস্য শাইরুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ সেখানে অবস্থান করছেন। এর বাইরে সেখানে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাদলের সদস্য ও কার্যালয়ের কর্মচারীরা রয়েছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার না করলে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দেয়ার হুমকি দেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সমাবেশে এ হুমকি দেয়া হয়। এরপর মধ্যরাতে ওই কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো।