শুরু হচ্ছে মডার্নার করোনা টিকার শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল!

SHARE

আগের সবকটি ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ার পর এ বার শুরু হচ্ছে মার্কিন সংস্থা মডার্নার বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা টিকার শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল!
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর মতে, করোনা মোকাবিলায় প্রায় ১০০টি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। এগুলির মধ্যে ২টির ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। এই ২টি প্রতিষেধকের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি টিকার (ChAdOx1 nCoV-19) পরেই উল্লেখযোগ্য ভাবে সাফল্যে দিকে এগোচ্ছে মডার্না আরএনএ ভ্যাকসিন।
মডার্না জানিয়েছে, দুই দফায় মোট ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। এই ৪৫ জনের শরীরেই করোনা-রোধী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সংস্থার বিজ্ঞানীরা। এ বার তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করবেন বিজ্ঞানীরা। সংস্থা জানিয়েছে, এদের ৫০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবককে ১০০ মিলিগ্রাম প্রতিষেধকের ডোজ দেওয়া হবে, অন্যদের সাধারণ ওষুধ (placebo)। মডার্নার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই থেকে এই আরএনএ ভ্যাকসিনের শেষ পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে।
মডার্নার গবেষকদের দাবি, কোভিড-১৯ -এর জেনেটিক কোড কাজে লাগিয়েই এই mRNA-1237 ওষুধটি তৈরি করেছে মোদার্না। সংস্থার দাবি, mRNA-1237 ওষুধটি সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস না করলেও শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সংস্থার বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীর থেকে সংগৃহিত অ্যান্টিবডির চেয়েও বহুগুণ শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম এই mRNA-1237 প্রতিষেধক। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের মাঝারি ক্ষমতার ডোজেই সবচেয়ে ভাল ফল মিলেছে।