শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

SHARE

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে চ্যানেলের মুখে ফেরি আটকা পড়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল রাত ৯টার দিকে রো রো ফেরি বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর স্রোতের টানে চ্যানেলের মুখে আটকে পড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফেরিটি উদ্ধারে দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি-৯৫ ও আইটি-৯৬ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৯টার ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম।

আর আগে প্রবল স্রোত আর ঘুর্ণাবর্তে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলছিল মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। লঞ্চ সিবোটসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। স্রোতের প্রতিকূলে ফেরিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ফেরি চলছিল সীমিত আকারে। সীমিত আকারে ফেরি চলায় ঘাটে দেখা দেয় যানজট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার সহস্রাধিক যানবাহন।বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার আহমেদ আলী জানান, উজান থেকে ধেয়ে আসছে পানি। ফুঁসে উঠছে পদ্মা। সেই সাথে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। স্রোতের প্রতিকূলে ফেরিগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছিলনা। ৩টি রো রো, ৩টি কে টাইপ ও ১টি মিডিয়ারসহ সর্বমোট ৭টি ফেরি দিয়ে গতকাল নৌরুট সচল রাখা হয়েছিল। এসব ফেরিও চলছিল ঝুঁকি নিয়ে। স্রোতের টান ফেরিগুলোকে কয়েক কিমি ভাটিতে নিয়ে যাচ্ছিল অনেক সময়। ফেরিগুলো উজানে উঠে তার পর চ্যানেলে প্রবেশ করছিল।তিনি বলেন, সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে যায়। স্রোতের প্রতিকূলে ফেরিগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছতে আগের থেকে সময় লাগছিল অনেক বেশী। তাই ফেরি সংকটে ঘাটে দেখা দিয়েছিল দীর্ঘ যানজট। আর গতরাত ৯টা ফেরি বীর শ্রেষ্ট জাহাঙ্গীর স্রোতের টানে বিকল্প চ্যানেলের মুখে আটকে গেলে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. সিরাজুল কবীর জানান, নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় সিবোট ও লঞ্চ চলাচলেও মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। স্রোতের প্রতিকূলে এসব নৌযান চলছে ঝুঁকি নিয়ে।মাওয়া ট্রাফিক জোনের টিআই মো. হিলাল জানিয়েছেন, স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বিঘিœত হওয়ায় ঘাটে যানজট দেখা দিয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন রয়েছে।