হাসপাতালের ৪০ শতাংশ করোনা বেড এখনও খালি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

SHARE

দেশের হাসপাতালগুলোতে মোট ১৪ হাজার বেড শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ বেড এখনও খালি রয়েছে।আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী সেশনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমন নয় যে দেশের কোনো হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আজ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বেড পূর্ণ হয়েছে এবং এখনও ৪০ শতাংশ বেড খালি রয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য আমরা ১৪ হাজার বেড নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।’মন্ত্রী বলেন, কোভিড -১৯ রোগীদের জন্য উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন লাইন প্রয়োজন। সরকার এক হাজার উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন সিস্টেম এবং ১০ হাজার নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হোটেল ও খাদ্য ব্যয় সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘অভিযোগগুলো সঠিক নয়, কারণ ৫০টি হোটেলে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ লোক একমাস অবস্থান করেছেন। তাদের জন্য ৫০০ টাকা খাদ্য ব্যয় হিসাবে দেয়া হয়েছিল। দিনে তিনবার খাবারের জন্য- সকাল দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য। আর প্রতিটি রুমের ভাড়া প্রতিদিনের ভাড়া ছিল এক হাজার ১০০ টাকা ।’ব্যয়গুলো এত বেশি ছিল না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যে খাদ্য ব্যয় (অভিযোগে) বলা হয়েছিল, তা সঠিক নয়।’জাহিদ মালেক বলেন, এখন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) মান সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০ লাখ পিপিই পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে (করোনায় আক্রান্তদের) চিকিৎসা করা হচ্ছে, যদিও তাদের সার্ভিস চার্জ কিছুটা বেশি। তবে সরকার বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালের সার্ভিস চার্জ ঠিক করে দেবে বলেও জানান তিনি।মন্ত্রী বলেন, প্রথমদিকে চিকিৎসার জন্য ভেন্টিলেটর দরকার ছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভেন্টিলেটরগুলোর দরকার নেই। ‘আমরা প্রায় ৪০০টি ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করেছি, যার ৫০টিও ব্যবহার করা হয়নি।’