চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২ হাজার টাকায় ভ্রমণ ইউএস-বাংলায়

SHARE

এবার ২ হাজার টাকায় চট্টগ্রাম-ঢাকা বিমান ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে বেসরকারি শীর্ষ বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। ১ জুন থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ভ্রমনে এই সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। নির্ধারিত আসনের ৫০ শতাংশ খালি রাখায় বাস কম্পানিগুলো যখন ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বাড়তি বাস ভাড়া নেয়ার প্রতিযোগিতা দিচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে বিমান সংস্থাগুলো ভাড়া কমিয়ে যাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

করোনা মহামারির এই সময়ে ভাড়া না বাড়ানোর প্রথম উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার। তারা চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২৫০০ টাকা ভাড়া বহাল রেখেছিল। এর একদিন পর আরেক বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ভাড়া তিন হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে।

কেন জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের অভ্যস্ততার একটি বিষয় তো রয়েছেই। তাদেরকে বিমান ভ্রমণে নিয়ে আসা এবং মহামারির সময় তাদের পাশা থাকাটা আমরা প্রয়োজন মনে করছি। এই কারণে ধারনক্ষমতার ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে যাত্রার পরও আমরা ভাড়া কমিয়ে ১ হাজার ৯৯৯ টাকা রেখেছি। এই ভাড়া দিয়ে আমাদের খরচ উঠবে না। এরপরও মানুষের পাশা থাকা।

তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে আজ ১ জুন থেকে বের হয়ে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ, বাস, ট্রেনে যাচ্ছেন। তাদের জন্য বিমান ভ্রমণ অনেক বেশি নিরাপদ। এখানে করোনাভাইরাস ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে খুব কঠোরভাবে। আর ভাড়া বাকিগুলোর চেয়ে সাশ্রয়ী।

জানা গেছে, ১ জুন থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে দিনে মোট ১১টি ফ্লাইট চালাবে তিনটি বিমান সংস্থা। এরমধ্য ইউএস-বাংলা চালাবে সর্বোচ্চ ৬টি ফ্লাইট; নভো এয়ার তিনটি এবং বাংলাদেশ বিমান চালাবে দুটি। তিনটি বিমান সংস্থা ছোট বিমান দিয়ে যাত্রী পরিবহন করবে। ইউএস বাংলা ড্যাশ-৮ এবং এটিআর দিয়ে। নভোএয়ার এটিআর এবং বাংলাদেশ বিমান চালাবে ড্যাশ-৮ দিয়ে। তবে বেসরকারি আরেক বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ার এখন অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান পরিচালনার সময় ঘোষণা করেনি। বিমান সংস্থাগুলো তাদের নির্ধারিত আসনের ৫০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তিনটি বিমান সংস্থার মধ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান নিচ্ছে ৩ হাজার ১শ টাকা এবং ইউএস বাংলা আগে ভাড়া দিয়েছিল ৩ হাজার টাকা; এখন তা কমিয়ে ২ হাজার টাকা। আর নভোএয়ার একই রুটে ভ্রমণে ভাড়া দিয়েছে২ হাজার ৫শ টাকা; তারা ভাড়া বাড়ায়নি। তিনটি বিমান সংস্থার মধ্যে এখন সবচে বেশি ভাড়া রাষ্টায়ত্ব বাংলাদেশ বিমানের।

এদিকে আগামীকাল যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরুর জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পদক্ষেপ সর্ম্পকে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার ই জামান বলেন, ‌সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা মতে আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো যাত্রীদের। একজন যাত্রীকে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের আগেই গাড়িকে জীবাণুনাশক করা হবে। এরপর যাত্রীকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক, গ্লাভস পরে পা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এরপর ভবনে প্রবেশের সময় ইনফ্রায়েড থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মাপা হবে। চেকইন কাউন্টারে শারীরিক দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস নিতে হবে। এরপর ভবন থেকে বের হয়ে উড়োজাহাজে পৌঁছার পর বিমানে উঠার আগেই আরেকবার জ্বর মেপে নিশ্চিত হতে হবে। একইসাথে সেখানে আরেকবার পা জীবাণুমুক্ত করা হবে।