ক্ষমতাসীনদের রোষানলের শিকার আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে গোটা জাতি আজ শোকে মূহ্যমান। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে হতে হবে। আল্লাহ যেন গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন নেত্রীকে এই শোক সইবার ক্ষমতা দেন সে জন্য দেশবাসীর প্রতি দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর লাশ গুলশান কার্যালয়ে নিয়ে আসার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, দেশবাসী আজ শোকে স্তম্ভিত। সারাদেশে লাখ লাখ জনতা গায়েবানা জানাজা নামাজ পড়ে আরাফাত রহমান কোকোর জন্য দোয়া করেছেন। তারা জালিম সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছে।
শেখ হাসিনা কোকোর মৃত্যু সংবাদে শোক প্রকাশের নামে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন মন্তব্য করে শিমুল বিশ্বাস বলেন, জালিম সরকারের মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের কারণে দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেনি আরাফাত রহমান কোকো। এখন আবার তার দাফন কাফনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জালিম সরকার। সাবেক সেনাপ্রধান, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান হওয়ার পরও সামরিক কবরস্থানে তাকে ন্যাক্কার জনকভাবে দাফন করার অনুমতি দেয়নি এ সরকার।
তিনি বলেন, আন্দোলনে মাধ্যমেই এই স্বৈরাচারি জালিম সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কোকোর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে। এ সময় কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমান হাজারো নেতাকর্মীদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে গুলশান কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মালয়েশিয়া ইন্তেকাল করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তার লাশবাহী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছে।