রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর তরফদার রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, চুরি, কর্তব্যে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা সিএমএম আদালতে ওই মামলা দায়ের করেছেন শামীমুন নাহার লিপি নামে এক প্রবাসী নারী।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আলমগীর ভূইয়া, এসআই বাবুল, আরিফুর রশিদ, দুরদানা রশিদ, শাহরিয়ার রশিদ, আরিফুর রশিদের বন্ধু হুমায়ুন ওরফে ল্যাংরা হুমায়ুন, তাজুল ইসলাম, কবির হোসেন কাজল ও মো. মাসুদ।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, আমেরিকা প্রবাসী বাদিনীর রামপুরা থানাধীন ৩০৫/এ ব্লক-বি খিলগাঁও তালতলায় প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একটি ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন প্রপার্টি রয়েছে। বাদিনী যাতে উক্ত ফ্ল্যাটসহ অন্যান্য প্রপার্টি ভোগদখল না করতে পারেন এ জন্য বাদিনীর ভাই আরিফুর রশিদ, ভাইয়ের স্ত্রী দুরদানা রশিদ, ভাইয়ের ছেলে শাহরিয়ার রশিদ গত ২৪ আগস্ট তার ফ্ল্যাটের আসবারপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। যাতে বাদিনীর ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮শ টাকার ক্ষতি হয়। বাদিনী খবর পেয়ে রামপুরা থানায় গেলে প্রাথমিকভাবে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বাদিনী থানায় মামলা করতে চাইলে ওসি মাহবুবুর ওসি তদন্ত আলমগীর ভূইয়া ও এসআই বাবুল মামলা ও জিডি নিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারি উক্ত আসামিরা বাদিনীর বাসার তালা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে আসবারপত্র সরানোর কথা জানতে পেরে ফের থানায় যান এবং ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু ওসি মাহবুবুর ওসি তদন্ত আলমগীর ভূইয়া ও এসআই বাবুল বাদিনীর কাছে ব্যবস্থা নিতে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।
বাদিনী টাকা দিতে অস্বীকার করে বাদিনী ফিরে আসেন। ওই ঘটনার দুদিন পর গত ৪ জানুয়ারি বাদিনীর বিরুদ্ধে আসামি আরিফুর রশিদের জিডি গ্রহণ করেন বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান, অ্যাডভোকেট প্রিয় লাল সাহা ও অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান।