ফ্রান্সে লকডাউন শিথিলের পর করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে

SHARE

ফ্রান্সে মহামারী করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ২৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আগের দিনের মৃতের সংখ্যার চেয়ে আজকের এ সংখ্যা অনেক বেশি। রবিবার এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০। দেশটি সোমবার প্রথম প্রায় দুই মাসের লকডাউন শিথিলের ঘোষণা কার্যকর করেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ নিয়ে ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২৬ হাজার ৬৪৩ জনে দাঁড়াল।

ফ্রান্স সোমবার তাদের দেশের লকডাউন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করলেও তারা দেশব্যাপী অনেক বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে।কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় এ ব্যাপারে এখন সাবধান থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ‘লকডাউন চলাকালে আমাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছে।’সোমবার ফ্রান্সের আইসিইউতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন কমেছে। গত এপ্রিলে দেশটিতে এ মহামারির চরম সংকটকালে আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার অতিক্রম করেছিল।লকডাউন শিথিলের ক্ষেত্রে সরকার ফ্রান্সকে গ্রীন ও রেড জোনে বিভক্ত করেছে। এ ক্ষেত্রে প্যারিস এবং অপর তিন অঞ্চল রেড জোনের আওতায় পড়ায় এসব এলাকায় একেবারে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।এদিকে লকডাউন শিথিলের দায়িত্বে থাকা ফ্রান্সের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জিয়ান কাসটেক্স সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়ে গেলে লকডাউন আবারো আরোপ করা হতে পারে। লকডাউন শিথিলের প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বা এর যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা আসার সম্ভাবনা না থাকায় ফ্রান্সের জনগণের এ ভাইরাসে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির রয়েছে।’তিনি আরও বলেছেন, এ ক্ষেত্রে ‘কর্তৃপক্ষের লকডাউন শিথিলের পদক্ষেপ ফের বাতিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে ফ্রান্সে জনগণের চলাচলের কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক পরার এবং সামাজিক দূরত্ব পালন বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘এ ভাইরাস এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং তা ছড়াচ্ছে।