জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে শাহজালাল বিমানবন্দর

SHARE

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জীবাণুনাশক ছেটানোর কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির বিশেষ দল। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন আসিফ ইকবালের নেতৃত্বে ২ নম্বর টার্মিনাল থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচি। শাহজালাল বিমাবন্দরের টার্মিনাল ভবনসহ পুরো বিমানবন্দর এলাকা জীবাণুণাশক ছেটানো হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ২৬ সদস্যের বিশেষ দল হ্যান্ড হেল্ড স্প্রে দিয়ে বিমাবন্দরেরর এপ্রোন এলাকা, অ্যারাইভাল ও ডিপাচার্র লাউঞ্জ, হেল্প ডেস্ক, ইমিগ্রেশন, লাগেজ ট্রলি, দেয়ালসহ বিমানবন্দরের আনাচে কানাচে জীবাণুমুক্ত করে। এ ছাড়া পুরো আবাসিক এলাকা ও রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে বিশেষ গাড়ি থেকে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কমান্ডিং অফিসার। বিশেষ ফ্লাইট আসা যাওয়ার পর যাত্রীদের ব্যবহৃত স্থানগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হলেও বিমানবাহিনীর এই কর্মসূচির মাধ্যমে একযোগে পুরো এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। দিনব্যাপী চলবে এই কার্যক্রম।

বিমান বাহিনী তাদের নিজস্ব এলাকায় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জীবাণুনাশক ছিটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিমানবন্দরের জীবাণুমুক্ত করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর। বিমান বাহিনীর ওয়াটার ভ্যাহিকেলে বিমানবন্দরের বিভিন্ন সড়কে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।

শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান বলেন, জানুয়ারি থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে নিয়মিত বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

তিনি বলেন, এই মুহর্তে বিশেষ ফ্লাইট ছাড়া নিয়মিত ফ্লাইট নেই। এ সময়ে যাত্রীদের প্রবেশের স্থানগুলো বিশেষ ভাবে জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এয়ারলাইনসগুলোর উড়োজাহাজ জীবানুমুক্ত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা সেটি অনুসরণ করছে। বিমানবাহিনীর উদ্যোগে জীবাণুনাশক কার্যক্রম আমাদের উদ্যোগকে সহায়তা করেছে।

বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন আসিফ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটের সেবামূলক কার্যক্রম চলমান আছে। জাতির এ সংকটাপূর্ণ মুহুর্তে বিমান বাহিনীর এ সামাজিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ঘাঁটির আশে জীবানুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আগামীতেও এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।