দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৭৮৬

SHARE

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮৩ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯২৯জনে।
আজ মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ হাজার ১৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৫ হাজার ৭১১টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯৩ হাজার ৪০৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি গতকালের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও একজন। তিনি পুরুষ, ঢাকার বাসিন্দা, বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ নিয়ে মারা গেছেন ১৮৩ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টা সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪০৩ জন।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চলে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ১২৮ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৬৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭০ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন।
করোনা চিকিৎসায় রাজধানীসহ সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে আট হাজার ৫৯৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় দুই হাজার ৯০০টি এবং রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৬৯৪টি। এসব হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ৩৩০টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
গত ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারান্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৪৭৭ জনকে এবং এ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন এক লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪১ হাজার ১২২ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩৬ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই লাখ। তবে ১২ লাখের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।