স্বল্প পরিসরে বসবে সুপ্রিম কোর্ট

SHARE

অবশেষে আইনজীবীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষাপটে এবং বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে স্বল্প পরিসরে সুপ্রিম কোর্ট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপিল বিভাগে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বেঞ্চ বসবেন। আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুন বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতীব জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির নিমিত্ত ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন।

হাইকোর্ট বিভাগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ছুটিকালীন সময়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সকল অধিক্ষেত্রের অতীব জরুরি বিষয়সমুহ শুনানির নিমিত্তে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।’

সুপ্রিম কোর্টে গত ১৩ মার্চ থেকে অবকাশ শুরু হয়। অবকাশ শেষে ২৯ মার্চ আদালত খোলার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এই ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনও ২৬ মার্চ সারা দেশের আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ২৯ মার্চের তিনদিন আগেই ২৬ মার্চ যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় তা সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়েছে। আপাতত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি আছে। সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকলেও সারা দেশে প্রত্যেক জেলায় একটি করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখা হয়েছে জরুরি বিষয় শুনানির জন্য। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রজ্ঞাপণও জারি করেছিল।

এ প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টা রুহুল কুদ্দুস কাজল অনলাইনে হোক, আর যে ফরমেটেই হোক স্বল্প পরিসরে আদালত খোলার জন্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন। এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ই-মেইলের মাধ্যমে পৃথক আবেদন দেন।

এ ছাড়াও আইনজীবীরা অনলাইনে একটি সেমিনারও করেন। এই আবেদন ও সেমিনার থেকে আদালত খোলার পক্ষে অভিমত দেওয়া হয়। এ অবস্থায় আজ প্রধান বিচারপতি বৈঠকে বসেন ও উল্লেখিত সিদ্ধান্ত নেন।