করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে বস্তির নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। রাজধানীর মিরপুরে বস্তি এলাকায় এমন ১৬৩টি পরিবারের মাঝে আগামী তিন মাস খাদ্য বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামীণ শিক্ষা। গ্রামীণ শিক্ষা হলো নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের একটি প্রতিষ্ঠান।
১৬৩টি পরিবারে মোট ৮১৫ জন সদস্য চিহ্নিত করে এদেরকে তিন মাস ব্যাপী খাদ্য সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি পরিবারকে সপ্তাহে ৭ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি আলু ও একটি করে সাবান দেওয়া হবে। এরইমধ্যে খাদ্য বিতরণ শুরু করেছে গ্রামীণ শিক্ষা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বস্তির অতি দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রামীণ শিক্ষার জরুরি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি’।
গ্রামীণ শিক্ষার কর্মসূচিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় রাজধানীর মিরপুর ১০, ১১, ১২, ও ১৩ নং সেকশন এলাকায় পরিচালিত অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বা বস্তি স্কুল। এসব এলাকায় গ্রামীণ শিক্ষা ৩৯টি বস্তি স্কুল পরিচালনা করছে। যেখানে বস্তির দেড় হাজার দরিদ্র শিশু পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করছে। এসব শিশুদের একটি অংশ পিতৃহীন। কেউ কেউ পিতৃ-মাতৃহীন, এবং প্রায় সকলেরই অভিভাবক গৃহপরিচারিকা, দিনমজুর, ভ্যানচালক, হকার পেশায় নিয়োজিত।
কোভিড-১৯ উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে এই দরিদ্র পরিবারগুলোর অনেকেই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। পরিবারের উপার্জনকারীদের অনেকেরই কাজ-কর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরা খাদ্যাভাবে ভুগছে। গ্রামীণ শিক্ষা এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
এদিকে গ্রামীণ শিক্ষার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা নিজস্ব উদ্যোগে এই জরুরি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি শুরু করার পর গ্রামীণ পরিবারের অন্যতম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ এই কর্মসূচিতে অর্থায়ন করতে এগিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য যে, মিরপুর বস্তি এলাকা ছাড়াও গ্রামীণ শিক্ষা সিংগাইরে গ্রামীণ শিক্ষার প্রি-স্কুল কর্মসূচি এলাকায় ৪৯ জন এতিম ও হতদরিদ্র শিশু ও নারী-পুরুষকে তিন মাসের জন্য জরুরিভাবে খাদ্য সরবরাহ করছে।