দাবি আদায়ের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান অবরোধসহ ঘোষিত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
শনিবার দুপুরে ২০ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যা করে ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর আওয়ামী মহাজোট সরকার অবৈধ একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আরো বেশি নির্দয় ও নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
দলীয় চেতনায় উজ্জীবিত বেশকিছু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের দিয়ে বিএনপি এবং জোটের শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
এতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা, তার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে আরো বলা হয়, “তারা যেন ক্ষমতাসীন উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের প্রতিশোধবাসনার যন্ত্রে পরিণত না হন, কারণ এদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের বেতন নিশ্চিত করে। ”
বিজিবি মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়, “এই ধররেনর বক্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত ও হতবাক করেছে। ঔদ্ধতপূর্ণ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত এই বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিজিবির হাতে মারণাস্ত্র জনগণের টাকায় কেনা। এটি কোনো দল বা ব্যক্তির প্রাইভেট বাহিনী নয়। ”
পুলিশের আইজি বিএনপি চেয়ারপারসন সম্পর্কে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হয় একজন ছাত্রলীগের নেতা পুলিশের পোশাক পরে বক্তব্য রাখছেন। পুলিশের আইজির বক্তব্য নজীরবিহীন ও চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ। তাদের মনে রাখা উচিত কোনো অপকর্মই কখনো চিরদিনের জন্য মাটিচাপা থাকে না। জনগণ সব ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং নিষ্ঠুর অনাচারের বিচার করবেই।”
বিবৃতিতে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ ২০ দলের সব পর্যায়ের আটককৃত নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে ‘অবৈধ’ সরকারকে পদত্যাগ করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে অবরোধে এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়।