শিগগিরই করোনার মহামারি থেকে মুক্ত হচ্ছে ইতালি!

SHARE

করোনায় কাঁপছে ইতালি। দেশটির হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন শত শত মানুষ। ইউরোপের এই দেশটিতে মহমারি আকারে দেখা দিয়েছে করোনা। কিন্তু আশার বাণী শোনাচ্ছে ইতালির রোমভিত্তিক ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফিনান্সবিষয়ক ইনস্টিটিউট আইনাডি। তারা বলছে, মে মাসের ৫ তারিখের দিকে করোনার মহামারি শেষ হবে ইতালিতে।

ইনস্টিটিউটটি মহামারি সংক্রান্ত সব ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে একটি অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা, সুস্থ ও মারা যাওয়ার সংখ্যা বিবেচনা করে তারা এই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মহামারির তীব্র পর্যায়টি এপ্রিলের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হয়ে যাবে।

ইতালির ট্রেন্তিনো-দক্ষিণ টাইরোলের উত্তরাঞ্চলটিতে এপ্রিল ৬ তারিখে জরুরি অবস্থা শেষ হবে। আশা করা হচ্ছে, এরপরে বেসিলিকাটা, লিগুরিয়া ও আম্বরিয়ার মধ্য অঞ্চলগুলোর জরুরি অবস্থা শেষ হবে এপ্রিলের ৭ তারিখে। লাজিও অঞ্চলে করোনা নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ হবে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে। ভেনেটো ও পাইডমন্টের উত্তর অঞ্চলগুলোতে, যেখানে করোনা রোগী প্রথম সনাক্ত হয়; সেখানে ১৪ ও ১৫ এপ্রিলের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

ইতালির লম্বার্ডি এবং এর প্রশাসনিক কেন্দ্র মিলানোতে সবচেয়ে ভয়াবহ থাবা বসিয়েছে করোনা। তবে এপ্রিলের ২২ তারিখের মধ্যে করোনার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শেষ হবে সেখানে। এমিলিয়া-রোমগনার সংলগ্ন অঞ্চল, যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী পাওয়া যায়, সেখানে ২৮ এপ্রিলের পর নতুন কোনো করোনা রোগী পাওয়া যাবে না। আর মে মাসের ৫ তারিখে করোনা মুক্ত হবে ইতালির তস্ক্যানা নামক অঞ্চল। ইতালির স্বাস্থ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলারিকেও করোনা ধরে বসে। কিন্তু বর্তমানে তিনি সুস্থ। তিনি জানান, সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই ইতালিতে করোনার আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবে।

ইতালির সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্টের তথ্য মতে, গতকাল সোমবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আটশ ১২ জন মারা গেছেন। আর নতুন করে করোনা সনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ছয়শ ৪৮ জনের শরীরে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি কম রোগী পাওয়া গেছে গতকাল। তবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এক লাখ এক হাজার সাতশ ৩৯ জন বর্তমানে করোনা আক্রান্ত।