বিজিএমইএ’র পিপিই পাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

SHARE

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মীসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিনামূল্যে ২০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দেবে দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

গতকাল রবিবার (২৯ মার্চ) রাতে বিজিএমইএ’র পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ’কে পিপিই সরবরাহের অনুরোধ করেছে। এ মুহূর্তে বিতরণের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ হাজার পিপিই পোশাক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বিজিএমইএ। এগুলো প্রথম স্তরের পিপিই (লেভেল-১) এর পরিপূরক হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসারত ডাক্তার ও কর্মীদের প্রয়োজন লেভেল ৩/৪ পিপিই।

পিপিই এর ফেব্রিক্স ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে ইতো্মেধ্যে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ’র প্রস্তাবিত পিপিই-কে লেভেল-১ পরিপূরক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে ডিজিএইচএস। বর্তমানে বিজিএমইএ’র অনেক সদস্য প্রতিষ্ঠান ফেব্রিক্স দানে এগিয়ে এসেছে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব স্ব কারখানায় বিনামূল্যে পিপিই তৈরি করার বিষয়ে বিজিএমইএ’কে প্রস্তাবনাও দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এসব ফেবিক্স কেনার জন্য একটি তহবিল গঠন করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে বিজিএমইএ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পিপিই-এর জন্য ফেব্রিক্স মূলত চীন থেকে আমদানি করতে হয়। আবার, পিপিই পোশাক প্রস্ততের জন্য কারখানাগুলোকে বিশেষ ধরনের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে হবে। কারখানায় জীবাণুমুক্ত পরিবেশে উৎপাদন কাজ চালাতে হবে। এসবের জন্য প্রশিক্ষণও দরকার। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কারখানায় পিপিই তৈরি করার জন্য অন্তত ছয় মাস অথবা এর বেশি সময় লাগবে।