ভারতে দশ বছরের এক মেয়ে শিশুকে জীবন্ত মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক পাষণ্ড পিতা। কিন্তু স্ত্রীর হস্তক্ষেপে তার সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ত্রিপুরা রাজ্যের বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আবুল হুসেইন নামের ওই ব্যক্তি মেয়েদের পছন্দ করতেন না। নিজের স্ত্রীর গর্ভে মেয়ে হওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি বেশ বিরক্ত ছিলেন। তিনি মেয়েটিকে মোটেও পছন্দ করতেন না।
শুক্রবার স্ত্রীর অবর্তমানে মেয়েটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আবুল হুসেইন। এ উদ্দেশে তিনি বাড়ির পিছনের আঙ্গিনায় একটি গর্ত করেন। এরপর টেপ দিয়ে মেয়েটির মুখ আটকে দেন যাতে সে চীৎকার না করতে পারে। এরপর দু হাত বেঁধে শিশুটিকে গর্তে দাঁড় করিয়ে মাটি ফেলতে শুরু করেন। তিনি মাটি দিয়ে মেয়েটির বুক পর্যন্ত ঢেকে ফেলেন। এ সময় হঠাৎ করেই বাড়ি ফেরেন তার স্ত্রী। স্ত্রীর নজর এড়াতে তাড়াহুড়ো করে একটি বাঁশের ঝুড়ি দিয়ে শিশুটির খোলা অংশ ঢেকে দেন তিনি। তার উদ্দেশ্য ছিল, গোপনে মেয়েটির বাকি অংশ মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া।
কিন্তু স্ত্রী ঘরে ঢুকেই মেয়ের খোঁজ করায় তিনি বিপদে পড়েন। স্বামীর আচরনে সন্ন্দেহ হওয়ায় চীৎকার শুরু করেন মেয়ের মা। তার চীৎকার শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। শেষে তারাই মেয়েটিকে খুঁজে বের করেন এবং গর্ত থেকে উদ্ধার করেন।
পরে গ্রামের লোকজন আবুল হুসেইনকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় আবুল হুসেইনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।