লকডাউনে কোথায় যাচ্ছেন? প্রশ্ন করায় পুলিশের গায়ে লিপস্টিক লাগিয়ে দিলেন তরুণী!

SHARE

করোনা ঠেকাতে ভরতে চলছে লকডাউন। কিন্তু এক তরুণী তা না মেনে বাড়ির বাইরে বের হন। বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশের গায়ে লিপস্টিক লাগিয়ে দেন তরুণী। পরে পুলিশ ওই তরুণী এবং তার সঙ্গীকে আটক করেছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতা শহরের সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে।

ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায়, বুধবার সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে রুটিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল স্থানীয় পুলিশ। সেই সময়ে একটি ছোট গাড়ি সল্টলেকের দিকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। গাড়ির গায়ে উবরের স্টিকার ছিল। ভেতরে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। পুলিশ গাড়িটি আটকে প্রথমে চালককে প্রশ্ন করে, কেন তিনি আরোহীসহ বাইরে বেরিয়েছেন?

পুলিশের দাবি, ওই চালক দাবি করেন গাড়ির আরোহী ওষুধ কেনার জন্য বেরিয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ কর্মীরা গাড়িচালক এবং আরোহীদের কাছ থেকে ওষুধের প্রেসক্রিপশন চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। এরপরেই গাড়ির আরোহী তরুণীর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের তর্ক শুরু হয়।

একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তার মাঝেই হঠাৎ ওই আরোহী তরুণী গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং দায়িত্বে থাকা সাব ইনস্পেক্টর সুমন ভট্টাচার্যের শরীরে ঠোঁটের লিপস্টিকও লাগিয়ে দেন। লিপস্টিকের রঙ লেগে যায় পুলিশ কর্মকর্তার পোশাকে।

এই ঘটনার পর পুলিশকর্মীরা ঘিরে ধরেন ওই তরুণীকে। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। সেখান থেকে নারী পুলিশকর্মীরা এসে ওই তরুণী এবং তার সঙ্গীকে আটক করে নিয়ে যান।

প্রাথমিকভাবে পুলিশকে ওই গাড়িচালক জানিয়েছেন, ওই তরুণীর বাড়ি পিকনিক গার্ডেনে। গাড়িচালকের পরিচিত তিনি। চালকের দাবি, তিনি একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, সেই সংস্থা আপাতত গাড়ি পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। তিনি বলেন, আমার পরিচিত ওই তরুণী প্রথমে মেডিক্যাল কলেজের দিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি দোকানে যান খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। বি‌‌ধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশকর্মীকে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।