প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি এমনভাবে উদ্যাপিত হবে, যাতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে জনগণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়ে। তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী ভাইরাস যেহেতু বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, কাজেই জনগণের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি মনোনিবেশ করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। সে কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন কর্মসূচি পুনরায় সাজিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণ যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেই আমরা কর্মসূচি (জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন) নতুন করে সাজিয়েছি, যদিও এটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল।’
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চাপ বাড়ানোর আহ্বান
সফররত ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ফ্লোরেন্স পারলি লালমনিরহাটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে তাঁর দেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বিদ্যমান সামরিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই খাতে ফ্রান্সের সঙ্গে আরও সহযোগিতা দেখতে চাই।’