ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ৩১ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে। অনুদানের এই অর্থের মধ্যে ১৮.৫ মিলিয়ন ইউরো রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের মধ্যে দুঃস্থদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। এই অর্থ দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য সহায়তা ও শিক্ষা প্রদান করা হবে। বাকি অর্থের মধ্যে ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো স্থানীয় জনগণের দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা প্রস্ততিতে সক্ষমতা অর্জনে ব্যয় করা হবে।
অন্যদিকে মিয়ানমারে রাখাইন, কাচিন এবং শান রাজ্যের জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টি, শিক্ষা এবং আশ্রয় প্রদানে ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া সংঘর্ষ অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে স্থানীয় প্রস্তুতি জোরদারে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হবে।
সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার জ্যানেজ লেনার্কিক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট তৃতীয় বছরে পড়েছে। আমাদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি। এটি ভুলে গেলে চলবে না, তাদের বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ওপর অধিক নির্ভর করতে হচ্ছে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী এবং স্থানীয় জনগণকে ও মিয়াসমারে দুঃস্থ রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুযোর্গ থেকে রক্ষা করতে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করতে হবে।
২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের কক্সবাজারে এবং দেশের অন্যান্য স্থানে দুঃস্থ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানে ২৭ মিলিয়ন ইউরো এবং মিয়ানমারে গৃহহারা ও সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় ৯ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।