কোনো বিমানসংস্থাই বাংলাদেশের ওমরাহ যাত্রীদের নিচ্ছে না

SHARE

বাংলাদেশ থেকে কোনো ফ্লাইট নিচ্ছে না ওমরাহ যাত্রীদের। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে কোনো ফ্লাইট ওমরাহ ও সৌদি ভিজিট ভিসা যাত্রীদের নেয়নি। পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত ওমরাহ ও ভিজিট ভিসাপ্রাপ্ত যাত্রীদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।

কয়েকটি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, সৌদি সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল এয়ারলাইন্সের জন্য জারি করা নির্দেশনাটি আজ সকালেই তারা পেয়েছেন। এরপর থেকে তারা ফোন করে যাত্রীদের জানানো শুরু করেছেন।

ঢাকার বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, কিছু এয়ারলাইন্স যাত্রীদের বিমানে উঠিয়েও পরে তাদের নামিয়ে নিয়েছে। আর অনেক এয়ারলাইন্স চেক ইন করছে না বা বোর্ডিং কার্ডই দিচ্ছে না।

হজ এজেন্সি এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি সাহাদাৎ হোসেন তসলিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আজ সকাল থেকে ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যারা গেছেন তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

সৌদি আরবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরা প্রতিরোধ করতে সতর্কতা হিসেবে বিদেশিদের জন্য ওমরাহ করার সুবিধা স্থগিত করার পর সমস্যা শুরু হয়েছে।

তিনি বলছেন, বাংলাদেশের যে তিনটি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান যাতায়াত করে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সবগুলো বিমানবন্দরে প্রায় এক হাজারের মতো সৌদিগামী যাত্রী আটকে পড়েছেন।

ঢাকাতেই এই সংখ্যা ৫০০ মতো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সাহাদাৎ হোসেন তসলিম বলছেন, এই মুহূর্তে ১০ হাজার লোকের ওমরাহ ভিসা করা আছে আর তাদের অর্ধেকেরই টিকেট করা হয়ে গেছে। এখন তাদের যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।

তিনি বলছেন, ওমরাহ ভিসা সাধারণত ১৫ দিনের জন্য দেয়া হয়ে থাকে। ভিসা করার সময়ই হোটেল বুকিং দেখাতে হয়। এখন সৌদি সরকার কবে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেবে তা নিশ্চিত নয় বলে ওই দশ হাজার ব্যক্তি যেতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।

ঢাকার বাসিন্দা সুমাইয়া খান আশা পরিবারের আটজনসহ ওমরাহ করতে যাওয়ার জন্য সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলেছিলেন।

তিনি বলছেন, আমাদের টিকেট ও হোটেল কনফার্ম ছিল। অর্ধেকের মতো টাকা দেয়া হয়ে গেছে। মার্চের ১১ তারিখ যাওয়ার কথা ছিল। এখন বাসা থেকে এয়ারলাইন্স অফিসে গেছে খবর নিতে। আজ সকালটা শুরুই হয়েছে এই খবর দিয়ে। ওমরাহ করতে যাবো বলে ছুটিও নেয়া হয়েছে। এখন সবচেয়ে বেশি হতাশ আমার মা।

সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে আজই বিদেশিদের জন্য ওমরাহ করার সুবিধা স্থগিত করেছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশংকায় এটি করা হয়েছে যেহেতু সৌদি আরবের প্রতিবেশী অন্তত চারটি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে।

একই সাথে ভিসা থাকা সত্ত্বেও করোনাভাইরাস ধরা পরেছে এমন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেশগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মক্কায় ওমরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি মদিনায়ও প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা